আপনি জানেন কি ? পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা মানুষটি কে ছিলো ? | Tallest Man In The World

আপনি জানেন কি ? পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা মানুষটি কে ছিলো ? | Tallest Man In The World

 

(ছবিঃ রবার্ট ওয়াডলো)

বন্ধুরা আমরা লম্বা মানুষকে সব সময়ই পছন্দ করি । সবাই লম্বা হতে চায়, লম্বা হওয়ার জন্য একটা মানুষ কত কিছুই না করে । কিন্তু আপনি জানেন কি ? এই লম্বা হওয়াই একটা মানুষের রোগ হয়ে দারিয়েছিলো এবং এই লম্বা হওয়াটা সেই মানূষ্টার জন্য এক প্রকার অভিশাপ এর মতন হয়ে গিয়েছিলো ? জি হ্যা আমরা আজ এমন একজন মানুষকে নিয়ে কথা বলতে চলেছি যিনি হলেন এই পৃথিবীর দেখা সবচেয়ে লম্বা মানুষ । জি আমি সয়ং রবার্ট ওয়াডলোকে নিয়েই কথা বলছি 

আসুন জেনে নেই এই রোবার্ট ওয়াডলো সম্পর্কে ছোট করে কিছু কথাঃ 

কে এই রবার্ট ওয়াডলোঃ 

২২ ফেব্রুয়ারী ১৯১৮ সালে অবিশ্বাস্য আকার নিয়ে জন্মগ্রহন করেন রবার্ট পার্শিং ওয়াডলো। জন্মের পর থেকে তার শারীরিক বিকাশ সবার চোখে পড়ে। তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার জন্য একটি রিতিমত বিশেষ ডেস্ক তৈরি করা হয়েছিলো কারণ সে এতো লম্বা ছিলো যে সাধারন ডেস্ক তার জন্য অনেক ছোট হয়ে যেত । ১৩ বছর বয়সে যখন তিনি বয়েজ স্কাউটে যোগদান করেছিলেন তখন সেই সময়েই তার উচ্চতা ছিলো ৭ ফুট ৪ ইঞ্চি । যা অন্যান্য সব স্টুডেন্ট এর থেকে অনেক অনেক বেশী ছিলো । তার ইউনিফর্ম তৈর করার জন্য ৪২ ফুট কাপেড়ের প্রয়োজন হয়েছিলো। 
তিনি যখন স্নাতক পাশ করেন তখন তার উচ্চতা আরো বারতে থাকে তখন তার উচ্চতা হয়েছিলো ৮ ফুট ৪ ইঞ্চি । তখনই সে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা মানুষ ঘোষনা করা হয়। 

ওয়াডলো শুধুমাত্র তার জন্য নির্মিত বিশেষ গাড়ীতেই চলাচল করতে পারতেন যাতে তার উচ্চতার জন্য সিট সরিয়ে বিশেষ স্থান তৈরি করা হয়েছিলো। আসলে তার উচ্চতা এতো বেশী ছিলো তার জন্য শুধু পোশাক নয়, তার জন্য আলাদা করে চুতা, টাই, লাইটার চেয়ার সব কিছু এমনকি তিনি অতিরিক্ত লম্বা হয়ে যাওয়ায় তার শারিরীক যে একটা ব্যালেন্স সেটা একটু কমে যাওয়ায় তাকে লাঠির ওপর ভর দিয়ে হাটতে হতো এজন্য সেই লাঠিটাও আলাদা করে বানাতে হয়েছিলো । ওই সময়ে আন্তর্জাতিক জুতা কোম্পানি তার জন্য 39AA সাইজের বিশেষ জুতা তৈরি করতো। এর দারা তারা তাদের ব্যাবসার প্রচারনা করতে সক্ষম হয়েছিলো। 


ওয়াডলোর মৃত্যুঃ 

ওয়াডলোর অস্বাভাবিক রকমের শারিরীক বৃদ্ধির পেছোনে ছিলো একটা হরমন জোনিত রোগ , তার পেছনের গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত কিছু হরমন এর কারণে সে এতো বিশাল আকৃতির হয়ে গিয়েছিলো । ডাক্তাররার ধারানা করেহচিলেন যদি ওয়াডলো ২২ বছরের বেশী বেচে থাকেন তবে তার উচ্চতা ১০ ফুটের বেশী হয়ে যাবে এবং তার শারীরিক উচ্চতার কারণে তার পায়ের মাসল এর ওপর অনেক

প্রেসার পড়বে এতে জটিলতা বারবে । ১৯৪০ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে ওয়াডলো মারা যান । 


মৃত্যুর সময় তার ওজন ছিলো ৫০০ পাউন্ডের কাছাকাছি আর উচ্চতা ছিলো ৮ ফুট ১১"৫ ইঞ্চি । মানে ধরে নিতে পারেন ৯ ফুট । ওয়াডলোর পরিবারেরে ভয় ছিলো তার মৃত্যুর পর তার এই দানব আকৃতির শরীর টা চুরি হয়ে যেতে পারে । এর কারণেই ওয়াডলোর পরিবার ১০ ফুট ৬ ইঞ্চি একটা লম্বা লোহার কফিন বানিয়েছিলেন এবং সেই কফিনেই দাফন করেছিলেন তাকে । 

তার মৃত্যুর পর তার শরনে নিউইয়র্কে তার একটি মুর্তি নির্মান করা হয়েছিলো । যা এখনো অনেক মানুষের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু ।

-সেরা সংবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post